স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ সাদা বল তথা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে অপরিহার্য অংশ এখন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের প্রাথমিক দলে সাইফউদ্দিনসহ ৭ পেসার আছেন। চূড়ান্ত দলে নিজের অবস্থান নিয়ে হয়তো খুব বেশি চিন্তায় নেই এই তরুণ। তবে একাদশে ঠাঁই পাওয়া নিয়ে ভাবনায় সাইফউদ্দিন। তার মতে, এই সিরিজে পেসারদের মধ্যে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মঙ্গলবার অনুশীলনের পর সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘গত দুইটা টুর্নামেন্ট বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আমাদের পেসাররা অনেক ভালো করেছে। এ কারণে এ জায়গাটা বেশ আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দলে সুযোগ পাওয়া বা সেরা একাদশে সুযোগ পাওয়া। এ জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি বাকিটা আল্লাহর হাতে।’
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে পাওয়া গোড়ালির চোট কাটিয়ে উঠেছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটও ভোগাচ্ছিল তাকে। উইন্ডিজদের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের আগে পুরোপুরি ফিট হয়েছেন বলে জানালেন এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো, খুব চিন্তিত ছিলাম সিরিজের আগে রিকভারি করে উঠতে পারবো কিনা। বায়েজিদ ভাই অনেক সাহায্য করেছে আমাদের ট্রেনার, শাওন ভাই ছিল ফিজিও উনিও অনেক সাহায্য করেছে। উনাদের নির্দেশনা মতে লাস্ট কয়দিন হার্ড অ্যান্ড সোল ট্রাই করেছি, ওভার অল ভালো। আলহামদুলিল্লাহ লাস্ট তিনদিন হাই ইন্টেন্সি নিয়ে প্র্যাকটিস করলাম ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবই করলাম। আর সবমিলিয়ে সেশনগুলো খুব উপভোগ করছি। সামনে আরও সুযোগ পাবো প্র্যাকটিসের, ইভেন আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচও আছে। তো আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি অনুশীলন সেশনগুলো থেকে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি সাইফউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘অনেক খুশির বিষয়, প্রকাশ করার মত না। ঘর বন্দী ছিলাম, এর মধ্যে ঘরোয়া খেললাম। আসলে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় গর্বের বিষয়। আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের মাঝে এক বছর পর সাকিব ভাই ফিরে এসেছে এ কারণে ভালো লাগাটা অন্যরকম। আর যেহেতু ঘরের মাঠে আমাদের হোম সিরিজ তাই বাড়তি উদ্দীপনা জোগাচ্ছে আমাদের।’
নট আউট/এমজেএ/আরএ