ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দারুণ পারফর্ম করে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। উন্নতি হয়েছে সিরিজ সেরা সাকিব আল হাসানেরও।
উইন্ডিজ সিরিজের আগে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের ১৩-তে ছিলেন মিরাজ। উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচে সাত উইকেট নিতেই পেলেন দারুণ সুখকর। নয় ধাপ এগিয়ে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের ডুকে গেছেন সেরা পাঁচে। ক্যারিয়ার সেরা ৬৯৪ পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের চার নম্বরে আছেন মিরাজ।
র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানেরও। ক্যারিবীয় সিরিজে ৬ উইকেট শিকার করা মুস্তাফিজ এগিয়েছে ১১ ধাপ। ১৯ নম্বর থেকে সিরিজ শুরু করা দ্যা ফিজ ডুকে গেছেন সেরা দশে। ৬৫৮ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছেন আটে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ক্যারিবীয় সিরিজ দিয়েই আন্তজার্তিক ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে নজরকাড়া পারফর্ম করে হয়েছেন সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ও। সিরিজে ৬ উইকেট শিকার করা সাকিব বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ১৫ ধাপ।
৬২৯ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছেন ১৩ নম্বরে। এছাড়া অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলা সাইফুদ্দিনও এগিয়েছেন তিন ধাফ।
আইসিসি ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের যথারিতি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। বর্তমানে তার পয়েন্ট ৭২২। দুইয়ে থাকা আফগান স্পিনার মুজিব-উর-রহমানের পয়েন্ট ৭০৮। ৭০০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ তিনে রয়েছে ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ৬৭৫ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অবস্থান করছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস।
আইসিসি ওয়ানডে বোলার র্যাঙ্কিং:
১। ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড): ৭২২ পয়েন্ট;
২। মুজিব উর রহমান (আফগানিস্তান): ৭০৮ পয়েন্ট;
৩। জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত): ৭০০ পয়েন্ট;
৪। মেহেদী হাসান মিরাজ (বাংলাদেশ): ৬৯৪ পয়েন্ট;
৫। ক্রিস ওকস (ইংল্যান্ড): ৬৭৫ পয়েন্ট;
৬। কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা): ৬৬৫ পয়েন্ট;
৭। জশ হ্যাজলউড (অস্ট্রেলিয়া): ৬৬০ পয়েন্ট;
৮। মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ): ৬৫৮ পয়েন্ট;
৯। মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান): ৬৪৮ পয়েন্ট;
১০। প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া): ৬৪৬ পয়েন্ট।
-নট আউট/টিএ