স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট: বাংলাদেশের টেস্ট বাদ দিয়ে আইপিএল খেলতে চান সাকিব আল হাসান। দেশের অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটারের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক বিসিবি। সাকিবের এমন কান্ডের পর জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে কঠোর হচ্ছে বিসিবি। চুক্তিতে নতুন শর্ত যুক্ত হবে। চলতি বছরের চুক্তিটা নতুন নিয়মেই হবে।
যেখানে দেশের হয়ে খেলাটাই প্রাধান্য পাবে। চাইলেই হুটহাট ছুটি চাওয়া যাবে না। বিদেশি লিগে খেলতে চাইলে আগেই জানাতে হবে, চুক্তিতে সেসব উল্লেখ করে দিতে হবে। দেশের খেলা বাদ দিলে জাতীয় দলেও জায়গা হারাতে হবে। সোমবার বিকেলে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আজ মিরপুর স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড সফরগামী ক্রিকেটার, কোচ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছেন বোর্ড সভাপতি। পরে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গেও মিটিং করেন তিনি।
মিটিংয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে পাপন বলেছেন, ‘আমরা আজ এই ব্যাপারেও আলোচনা করেছি, আমরা ওদের (জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে) সাথে একটা কন্ট্র্যাক্ট তৈরি করব। আমরা এখনো এবার কোন কন্ট্র্যাক্ট করিনি তো। কন্ট্র্যাক্ট শেষ হয়ে যে, এরপর আমরা নতুন কন্ট্র্যাক্টে যাইনি। এই কন্ট্র্যাক্টে আরো নতুন কিছু জিনিস যুক্ত হবে। ওখানে পরিস্কারভাবে লেখা থাকবে, যে কে কোন ফরম্যাট খেলতে চায়, তাদেরকে বলতে হবে। এবং এটাও জানতে হবে তাদের যদি ঐ সময়ে অন্য কোন খেলা থাকে তাহলে সেখানে খেলবে নাকি দেশের হয়ে খেলবে। এই কন্ট্র্য্যাক্টে যারা সই করবে তাদের তো আমরা তখন যেতে দিব না। এখন ব্যাপার টা ওপেন। আগে এটা ছিল ইনডিভিজুয়ালের ওপরে, এখন আমরা কাগজে কলমে লিখিত নিয়ে নিব। কারো বলার কিছু থাকবে না, যে দিল না, জোর করে যাচ্ছে-এসব বলার কিছু থাকবে না। যে খেলবে না, সে খেলবে না।'
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরাতো লিখিত নিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু ন্যাশনাল টিমের খেলা, যে বলবে খেলবে তাকে খেলতেই হবে। এখন সবার জন্য যদি ফ্রি থাকে ওপেন থাকে, কাউকে জোর করবো না। আমরা যখন জানবো এই কয়জন প্লেয়ার চায়না টেস্ট খেলতে তখন তো তাদের বিকল্প নিয়ে চিন্তা করতে হবে আমাদের। হয়তো ক বছর বা দেড় বছর সময় লাগবে, লাগুক। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য আমরা পারবো।’
সিরিজ শুরুর আগে হঠাৎ সরে দাঁড়ানোর এই রাস্তা বন্ধ করে দিতে চায় বিসিবি। পাপন বলেছেন, ‘ওরা সবাই যদি লিখে দেয় আমরা কেউ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই না, আমি এখনই রাজি। তবে আমাকে অবশ্যই জানতে হবে। ট্যুরের আগে যেয়ে বললে হবে না। হঠাৎ করে সিরিজের আগে আওয়াজ শুনি একটা, এগুলো চাচ্ছি না। যে খুশি বলে দিক, কে কে খেলতে চায় না। কোন অসুবিধা নেই, তবে সিরিজের আগে না। আমাদের সময় লাগবে, আমি একটা বছর সময় চাই। একবছর পরে কাউকে লাগবেও না, কোন অসুবিধা নেই।'
তিন ফরম্যাটের জন্যই আলাদা চুক্তি হবে। বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘এটা তো ওয়ানডে না তো, আমি তো তিন ফরম্যাটেই ওদের কন্ট্র্যাক্টে নিয়ে নিচ্ছি। কন্ট্র্যাক্ট টা আসলে না আসার আগে আমি সব উত্তর আপনাদের দিতে পারব না, আজকে এটা নিয়ে আমরা আলোচনাটা করেছি। আমার মনে হয় ঐ কন্ট্র্যাক্টের পর আর কোন কনফিউশন থাকার কথা না। কন্ট্র্যাক্ট দেখলে ওরাই জানবে কিভাবে কি হবে। তখন আমার কাছে ছুটিও চাওয়ার কিছু নেই। কেউ যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার কথা বলে তাকে তো আমরা দলেই রাখব না, অসুবিধা টা কি।'
নট আউট/এমজেএ/আরএ