হতে পারতেন ম্যাচের নায়ক, কিন্তু মুহূর্তেই নায়ক থেকে খলনায়ক বনে গেলেন লঙ্কান স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়া। ও.ইন্ডিজ বনাম শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটায় জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিক ও.ইন্ডিজ।
এন্টিগায় এদিন টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। শুরুতেই ওপেনার গুণাথিলাকার উইকেট হারায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ডিকভেলাকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন পাথুম নিশাঙ্কা। ডিকভেলা করেন ৩৩ রান ও নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। এ দু'জনের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রানের পুঁজি পায় তারা।
জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স আর এভিন লুইসের মারকুটে ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩.২ ওভারেই বোর্ডে ৫২ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। এরপরেই ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন ধনাঞ্জয়া। পরপর তিন বলে এভিন লুইস, ক্রিস গেইল এবং নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে হ্যাট্রিক করে লঙ্কানদের ম্যাচে ফেরান এই স্পিনার। তবে এদিন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুই দেখেছেন ধনাঞ্জয়া।
হ্যাট্রিক করার পরের ওভারেই পোলার্ডের হাতে ছয় বলে ছয় ছক্কা খেয়েছেন এই স্পিনার। যুবরাজ সিং এর পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকানোর কীর্তি গড়েন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে মাত্র ১১ বলে ৩৮ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন পোলার্ড। শেষ দিকে জেসন হোল্ডারের অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে মাত্র ১৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ১৩১/৯(২০)
পাথুম নিশাঙ্কা ৩৯, নিরোশান ডিকভেলা ৩৩;
ম্যাকয় ২/২৫।
উইন্ডিজ: ১৩৪/৬(১৩.১)
পোলার্ড ৩৮, হোল্ডার ২৯;
হাসারাঙ্গা ৩/১২, ধনাঞ্জয়া ৩/৬২।
ফলাফল: উইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: কাইরান পোলার্ড।
-নট আউট/টিএ