স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট: ঘটনা দেড় বছর আগের। ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে তর্কে জড়িয়ে সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে প্রথমে ধাক্কা দেন ঢাকা বিভাগের পেসার মোহাম্মদ শহীদ। এরপর তেঁড়ে এসে অনুজের গায়ে হাত তোলেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। এ ঘটনায় মোহাম্মদ শহীদ ও আরাফাত সানির জুনিয়রকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি। একই ঘটনায় ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় শাহাদাতকে। সঙ্গে তিন লাখ টাকা জরিমানা।
নিষেধাজ্ঞার কারণে মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ নেই শাহাদাতের। কিন্তু গত মাসে মিরপুরে বোলিং করেন তিনি। তারপরই সংবাদমাধ্যমের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে, তার মায়ের ক্যান্সার। তাকে সুস্থ করতে টাকা প্রয়োজন। ক্রিকেট খেলে সেই টাকা উপার্জন করতে চান। মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা পেতে খেলতে চান শাহাদাত। বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে শাস্তি মওকুফের অনুরোধ করেছেন তিনি।
মায়ের জন্য খেলার অনুরোধে মন গলেছে বিসিবি কর্তাদের। তার শাস্তি কমানোর চিন্তা করছে বিসিবি। সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকরাম খান।
ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আপনারা জানেন গত বছর এনসিএল চলাকালীন রাজিব একটা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিল। তারপরে ক্রিকেট বোর্ড ওকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। কিছুদিন আগে টিভিতে দেখেছি এবং ও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ফোন করেছে তাছাড়া একটি চিঠিও দিয়েছে যেহেতু ও একটা বিরাট পারিবারিক সমস্যায় পড়েছে। ওর আম্মার ক্যান্সার হয়েছে এবং সে কোনো ক্রিকেট খেলতে পারছে না। ওর বিষয়টি বিবেচনা করে আমি কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি বিশেষ করে মল্লিক ভাই ও দুর্জয়ের সঙ্গে। ওনারা ওর ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। আমরা শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছি। আশা করছি ওখান থেকেও ইতিবাচক কিছুই আসবে। এর সাথে আমরা মাননীয় বোর্ড সভাপতিকেও জানিয়েছি এবং তিনিও ইতিবাচক আছেন। ও যেন এবারের এনসিএল থেকে পুরো ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারে সেই আশা করছি।’
নট আউট/এমজেএ/আরএ