স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ নিউজিল্যান্ড সফরে আবারও অতীতের ন্যায় ব্যর্থতার ষোলকলা পূরণ করেছে বাংলাদেশ দল। এবারও দুই ফরম্যাটে টানা ছয়টি ম্যাচ স্বাগতিকদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের বৃত্তে থেকেই সফর শেষ করলো মাহমুদউল্লাহ-লিটনরা। সফরে ক্যাচ মিসের ধারাবাহিকতাও অক্ষুন্ন রেখেছে বাংলাদেশ। আজও তিনবার ক্যাচ ফেলেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
অকল্যান্ডে বৃহস্পতিবার সফরের ও সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-২০ ম্যাচে উরুর ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে এ ফরম্যাটে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। একাদশেও কয়েকটি পরিবর্তন এসেছিল বাংলাদেশের।
কিন্তু ম্যাচটি বৃষ্টির বাধায় পড়েছিল।ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে হয়ে গেছে ১০ ওভারের। টি-২০ তে টি-১০ ম্যাচের স্বাদই পেয়েছেন ইডেন পার্কের দর্শকরা। তবে বরাবরের মতোই পরাজিত দলের প্রতিনিধি বাংলাদেশ। আজ নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬৫ রানে হেরেছে লিটন দাসের দল।
ব্ল্যাক ক্যাপসদের দেয়া ১৪২ রানের টার্গেটটা বাংলাদেশের জন্য বেশ অসম্ভব কাজই ছিল। তারপরও ব্যাটসম্যানরা সেই চ্যালেঞ্জ নিতে চেষ্টা করেছেন। টি-১০ ম্যাচের আমেজে সবাই উইকেটে এসে ব্যাট চালিয়েছেন। ৯.৩ ওভারে ৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। নাঈম শেখ ১৯, সৌম্য ১০, মোসাদ্দেক ১৩ রান করেন। আর কেউ দুঅঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। টড অ্যাস্টল ১৩ রানে ৪টি, সাউদি ১৫ রানে ৩টি উইকেট নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ফিন অ্যালেনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ১৪১ রান করেছিল। ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশের বোলারদের উপর তা্ন্ডব চালিয়েছেন মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালনে।ষষ্ঠ ওভারে তাদের জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান, ততক্ষণে তারা তুলেছেন ৮৫ রান। গাপটিল ৪৪ রানে ফিরলেও ফিন অ্যালেন হাফ সেঞ্চুরি করেন।
২৯ বলে ৭১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে ছিল ১০টি চার ও ৩টি ছয়। অবশ্য ফিন অ্যালেনকে তিনবার জীবনও দিয়েছেন ফিল্ডাররা। শরীফুলের ৪র্থ ওভারে রুবেল, সৌম্য তার ক্যাচ ফেলেন। রুবেলের ৭ম ওভারে আবারও ক্যাচ ফেলেন সৌম্য। গ্লেন ফিলিপস ১৪, ড্যারেল মিচেল ১১ রান করেন। বাংলাদেশের মেহেদী হাসান, তাসকিন, শরীফুল একটি করে উইকেট নেন।
- নট আউট / এমজেএ